রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

ভোলা উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি মানুষ

ভোলা উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি মানুষ

স্বদেশ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এখন পর্যন্ত উপকূল এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে। সকাল থেকে ক্রমশ ঝড়বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে। ভোলার চরফ্যাশন উপকূলের নিম্নাঞ্চল এলাকা চর কুকরি মুকরি পাতিলা, ঢালচর ও চর নিজামে টানাবৃষ্টি ও তীব্র বাতাস হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে অস্বাভাবিক জোয়ারে চর পাতিলা ও ঢালচর ও কুকরি মুকরি এলাকায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত।

সোমবার সকাল থেকে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না টানা ঝড়বৃষ্টির কারণে। চর কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, চর পাতিলার প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা মাইকিং করে নিরাপদে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলছেন, কিন্তু তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে নারাজ।

ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, তার ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারছে না নৌযানের অভাবে। বৈরি আবহাওয়ায় কোনো নৌযান পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোবাকেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোলা জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০ ইউনিয়ন ও জেলার সাত উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877